Saturday, February 13, 2016

‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ ঠেকাতে মুসলিম ধর্মগুরু ও রেজ্জাকের মতো মহাভণ্ডরাই এখন নিঃসঙ্গ মমতার সঙ্গী



টিএমসি সরকারের পাঁচ বছরও পূর্ণ হয় নি এখনো, তবুও এর মধ্যেই ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই’ হাওয়া বইছে রাজ্য জুড়ে পরিবর্তন চাইছেন যেমন মমতার পক্ষে যাঁরা নেতিবাচক ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা, তেমনি যাঁরা মমতা ব্যানার্জীর টিএমসিকে বামফ্রণ্টের বিকল্প বলে বিশ্বাস করেছিলেন তাঁদের একটা অংশও ।  পরিবর্তনের জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে  গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতার জোট সঙ্গী কংগ্রেস পরিবর্তন চাইছে আর এক জোটসঙ্গী এসইউসিও মমতার কৃষি জমি বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গী পিডিএস ও নকশাল পন্থী সংগঠনগুলিও পরিবর্তন চাইছে  এটাই  বর্তমান ছবি যে বাম জামানার অবসান ঘটাতে সমস্ত  বিরোধীদল এবং বুদ্ধিজীবী ও বিদ্বজনদের মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন যে মমতা, এখন তিনি নিঃসঙ্গ ।   
 তথাপি কথাটাও  সত্যি  যে, ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইহাওয়াটা  ঝড় হয়ে ওঠেনি   তার নানা কারণ আছে । যেমন যাঁরা  মমতার অপশাসনে  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তাঁদের  ব্যাপক অংশ  বামফ্রণ্টের অপশাসনের কথা এখনও ভুলতে পারছেন নাঅপরদিকে কংগ্রেসের শক্তি ও জনসমর্থন তো  ক্রমশঃ ক্ষীণ হচ্ছে আর  এই বাস্তব পরিস্থিতিটা  বুঝেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য নেতৃত্ব, তেমনি  বুঝছেন প্রদেশ কংগ্রেস  নেতৃত্বও ।   তাই উভয় দলই  অতীত ভুলে টিএমসি-র বিরুদ্ধে  আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে  জোট  বাঁধতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে  জোট  গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবশ্য রয়েছে বিস্তর কাঁটাওকাঁটা বামফ্রণ্টের শরীকদলগুলি এবং সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় কমিটিও তবে শরীক দলগুলি শেষ পর্যন্ত সিপিআই(এম)-এর কাছে মাথা নোয়াবে তা ইতমধ্যেই স্পষ্ট ।  এর কারণ হলো,  তারা ভালো ভাবেই জানে যে  বামফ্রণ্ট  ছেড়ে  গেলে  তারা  বঙ্গ-রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে অন্যদিকে জোটের পথে একটা বড়ো বাধা  কংগ্রেসের হাইকমাণ্ডও । এই হাইকমাণ্ড নামক বস্তুটি আসলে হলো এক নেত্রী বিশিষ্ট  আনপ্রেডিক্টেবল সুপার পাওয়ার ।  প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান সমস্যাটি হলো, তাঁদের হাইকমাণ্ড সর্বদাই জাতীয় কংগ্রেসের স্বার্থের  বিনিময়ে  রাজ্য কংগ্রেসের স্বার্থকে বলি চড়িয়ে থাকেন  তবে এবার  হাইকমাণ্ড এবার প্রদেশ নেতৃত্ব বামেদের সঙ্গে জোট বাঁধার প্রশ্নে  যে  দৃঢ়  অবস্থান নিয়েছে তার প্রতি অনেক নরম মনোভাবাপন্ন  
কং-বাম জোট হলে  সেই জোট  টিএমসি-র  বিরুদ্ধে নিঃসন্দেহে কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে । কারণ,  জোট হলে দু’পক্ষের ভোট শুধু এক জায়গায় পড়বে তাই  না, জোটের প্রভাব হবে তার চেয়েও ঢের বেশী । কারণ কারণ, শাসকবিরোধী ভোটের বিজেপির দিকে ধাবিত হওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে, এমনকি বিজেপির ভোটের একাংশও  তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্পের সন্ধানে কং-বাম জোটের পক্ষে চলে যাবে  এ ছাড়া তৃণমূলী  স্বজন-পোষণ ও সন্ত্রাসের  বলি  তৃণমূলের  বহু কর্মী ও সমর্থকদের একাংশও  ব্যালোট বাক্সে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিতে পারেন মোদ্দা কথা হলো, কং-বাম জোট হলে  বর্তমান পরিস্থিতিটাই আমূল বদলে  যাবে  যা   টিএমসিকে নিশ্চিতভাবেই  কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দেবে
পরিস্থিতিটা বিলক্ষণ আঁচ করছেন মমতা নিজেও ।  এই পরিস্থিতিতে তাঁকে তাই  সব চেয়ে বেশী ভাবাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে তাঁর সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ হয়ে যাওয়াটা  একদা ভেবেছিলেন, কাউকে দরকার নেই, পশ্চিমবঙ্গের ইমাম সম্প্রদায় এবং আহমদ হাসান ও ইদ্রিস আলির মতো কট্টর মুসলিম নেতারা পাশে থাকলেই চলবে   তাই যখন কংগ্রেস, এসইউসি, পিডিএস, সিপিআই(এমএল),  বিভিন্ন নকশাল গ্রুপ, মাওবাদী গ্রুপ, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, ইত্যাদি দল ও সংগঠনগুলো  তাঁকে ছেড়ে একে একে চলে গিয়েছিলো তখন  তিনি তা  গ্রাহ্যই করেন নি ।  কিন্তু তাঁর সব হিসেব উল্টে দিয়েছে  সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট বাঁধার অঙ্গিকারবদ্ধ মরিয়া  প্রয়াস এ প্রয়াসে ভীত  ও বিহ্বল হয়ে  তিনি   হন্যে হয়ে  নতুন সঙ্গী খুঁজতে তৎপর হয়ে ওঠেন ।  আর তাই অতিশয় তৎপরতার সাথে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী,  জমিয়ত উলেমা নেতা সিদ্দিকুল্লাহ্ চৌধুরী ও  ন্যায় বিচার পার্টির নেতা রেজ্জাক মোল্লা্র সঙ্গে  জোট  বাঁধার প্রস্তাব পাঠান    তিন নেতাই কিন্তু  কিছুদিন আগে পর্যন্তও  মুসলমানদের প্রতারণা করেছেন  বলে মমতার বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়েছেন । তৎসত্ত্বেও   সিদ্দিকুল্লাহ্ চৌধুরী ও  রেজ্জাক মোল্লা ইতিমধ্যেই  ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মমতার ডাকে সাড়া  দিতে দেরী করেন নি ।  এবং সাড়া দিয়েই মমতার যে যে কোনো মুল্যে নতুন সঙ্গী একান্ত দরকার তা বুঝে  তাঁর  কাছে কয়েকটি সিটও দাবি করে বসেন । ডাপ্রস্তাব পাঠানো মাত্রই সাড়া দেওয়াই মমতাও বুঝে যান যে রেজ্জাক ও সিদ্দিকুল্লাহ্ তাঁর সঙ্গে জোট বাঁধার জন্যে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে । সেটা  বুঝতে পেরে মমতাও দ্রুত  কৌশল পরিবর্তন করতে  বিলম্ব করেন নি । বলেন, সিট নয় তৃণমূলে  চলে আসুন । শোনা যাচ্ছে , মমতা তাঁদের দু’জনকে  মন্ত্রী করার  টোপ (প্রলোভন) ঝুলিয়ে দিয়েছেন   কয়েকদিন ধরে মমতার সঙ্গে তাঁদের দর কষাকষি চলতে থাকে ।  দরদামের একটা পর্যায়ে  রেজ্জাক বুঝতে পারেন যে মমতা তাঁকে কোনো নিরাপদ আসন দিতে সম্মত নয় । তখন তিনি তলে তলে তাঁর পুরানো দল সিপিএমের  রাজ্য সম্পাদকে সূর্যকান্ত মিশ্রের কাছে দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন পাঠান ।  সূর্যকান্ত বাবু পত্রপাঠ  তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন । এ দিকে মমতার সঙ্গে জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে তাঁর নিজের হাতের তৈরী করা দল ‘ন্যায় বিচার পার্টি’  তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে । ‘না ঘর কা, না ঘাট কা’ রেজ্জাক অবশেষ মমতার কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে আত্মসমর্পণ করেন ।  সিদ্দিকুল্লাহ অবশ্য তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরেন নি,  কিন্তু তাঁদের ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’  মমতার সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়বেন তা জানিয়ে দিয়েছেন ।
সিদ্দিকুল্লাহর পুনরায় মমতার  সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা মোটেই  অস্বাভাবিক নয় কারণ, মমতাই তাঁদের (মুসলিম ধর্মগুরুদের)  স্বাভাবিক মিত্র    গত পাঁচ বছরে মমতা মুসলিমদের বিস্তর ঠকালেও, ধর্মীয় নেতাদের  দু’হাত উপুড় করে ঢেলে  দিয়েছেন ।  সিদ্দিকুল্লাহ্ ও তাঁর  সহ-ধর্মগুরুরা যা যা  চেয়েছেন, মমতা কল্পতরু হয়ে  তাই-ই দিয়েছেন । খারিজি মাদ্রাসার অনুমোদন চেয়েছেন, অনুমোদন দিয়েছেন; হজ্ব হাউসের সম্প্রসারণ চেয়েছেন, করে দিয়েছেন; নতুন হজ্ব হাউস চেয়েছেন, বানিয়ে দিয়েছেন; ইমাম-মোয়াজ্জিনদের ভাতা চেয়েছেন, অসাংবিধানিক জেনেও তা দিয়েছেন;  বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে না করেছেন, তিস্তাচুক্তি আটকে দিয়েছেন; খাগড়াগড় বিষ্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত মাদ্রাসা এবং মুসলিম মৌলবাদীদের আড়াল করার দাবি জানিয়েছেন, সে দাবীও যথাসম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করেছেন;  মহিলা ফুটবল খেলা বন্ধ করতে বলেছেন, বন্ধ করে দিয়েছেন;  তদুপরি মোল্লাদের খুশী করতে হিজাব পরেছেন, তাঁদের কাতারে বসে তাঁদের সঙ্গে হাত তুলে খোদার কাছে দোওয়া করেছেন, সালেমালেকুম-ইনসাল্লাহ-খোদা হাফেজ  বলেছেন ।  এ সব কাজের মধ্যে দিয়ে মমতা প্রমাণ করেছেন যে তাঁর  মতো  ইসলাম ও মোল্লাদরদী মুখ্যমন্ত্রী এ বঙ্গে  কোনো দিন এর আগে  হয় নি, আর কোনো দিন হবেও না । মমতা তাঁদের  এতো কিছু দিয়েছেন, তার উপর  আবার শোনা যাচ্ছে যে,  তাঁকে বিধায়ক ও মন্ত্রী বানিয়ে  দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন ।  স্বভাবতই  সিদ্দিকুল্লাহর পক্ষে  ভোল  বদলাতে  সমস্যা হয় নি, দেরীও হয় নি,  আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতার সঙ্গে গাঁট ছড়া  বেঁধেই লড়বেন তা জানিয়ে দিয়েছেন ।  
রেজ্জাক মোল্লার কিন্তু  মমতার কোলে ঢলে  পড়াটা অবাক করেছে অনেককেই ।   কারণ,  দীর্ঘকাল  তিনি   কম্যুনিস্ট  পার্টিতে ছিলেন,  মন্ত্রী  ছিলেন এবং পার্টির নেতৃত্ব করেছেন  রেজ্জাক অবশ্য   ভোল বদলাতে  শুরু করেন  বামফ্রণ্ট সরকারের  পতনের পর  থেকেই  মন্ত্রীত্ব হারানোর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি  তাঁর আসল রূপে আবির্ভূত হতে শুরু করেন বামফ্রণ্ট সরকারের পরাজয়ের অব্যবহিত পরেই পরাজয়ের  জন্যে পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে  প্রকাশ্যেই  সমালোচনায়  সরব হয়ে ওঠেন বুদ্ধবাবুর শিল্পনীতিকে কুরুচিপূর্ণ  ভাষায় আক্রমণ   করেছেন বারবার এমনকি ব্যঙ্গ করেও  বলেছেন, হেলে  ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে গেছে । শুধু শিল্পনীতিকেই নয়, তিনি আক্রমণ করেছেন তাঁর সরকারের সংখ্যালঘু নীতিকেও ।  বলেছেন,  মুসলমানদের সঙ্গে  প্রতারণা করার জন্যেই সিপিএমের পতন হয়েছে এর পাশাপাশি নিজের আখের গোছানোর অভিলাষে  মুসলমানদের সহানুভূতি অর্জন করার জন্যে  তিনি  মুসলিম সমাজের ধর্মীয়  নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে মনোনিবেশ করতে  শুরু করেন এ ভাবে   সর্বহারার নেতা থেকে সরাসরি  মুসলমানদের নেতা হওয়ার প্রয়াস শুরু করতে দেখা যায়  তাঁকে  কিন্তু কথায় কি চিড়ে ভিজে ?  কম্যুনিস্টদের  মুসলিম ধর্মীয় নেতারা তো মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে । তাই    নিজেকে ঈমানদার মুসলিম প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন । সর্বত্র বলে বেড়াতে  লাগলেন যে, আমি আগে মুসলমান পরে কম্যুনিস্ট, মার্কসবাদ নয় আল্লাহ্‌ হলো সর্বশক্তিমাননিজেকে মুসলমান প্রমাণ করতে সরকারি খরচে  হজটাও সম্পন্ন করতে ভুললেন না  কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারলেন যে,  মুসলমান ও কম্যুনিস্ট দু’টোই একসঙ্গে হওয়া যায় না ।  তখন  তিনি কম্যুনিস্ট তকমা ছুঁড়ে ফেলতে  তৎপর হয়ে ওঠেন সেটা করতে হলে  সব আগে  যে পার্টি  ছাড়তে  হয় ।   কিন্তু  তাতে তো বিধায়ক পদ থাকে না ।   যে লোকটা মন্ত্রীত্ব হারিয়ে  বেহুঁশ,  তার পক্ষে  বিধায়ক পদ  ছাড়া সম্ভব ?   তা হলে উপায় ?  পার্টি  বহিষ্কার করলে  গা থেকে কম্যুনিস্ট তকমা  খসতে পারে । তাই পার্টি যাতে দ্রুত বহিষ্কার করতে বাধ্য হয় সে কাজ করলেন ।  ঘোষণা করে দিলেন যে  পরের বিধানসভা , তখনও বিধানসভা নির্বাচন  ঢের দেরী আছে,  তিনি আলাদা ভাবে ভোটে লড়বেনব্যস কেল্লা ফতে । পার্টি তাঁকে বহিষ্কার করে দিলো। মহা খুশী হয়ে রেজ্জাক বললেন, Mostly welcome ! কম্যুনিস্ট আলখাল্লা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে  তারপর  তৈরী করলেন ‘ন্যায় বিচার পার্টি’ ।  মুসলমানদের    ন্যায় বিচার দিবেন তিনি !   কিন্তু মুসলমানরা তাঁকে পাত্তা দিলেন না  তাই  যেই  মমতা ডাকলেন, সঙ্গে সঙ্গে  ছুটলেন যদি মন্ত্রীত্বটা জোটে, নিদেন পক্ষে বিধায়ক পদটাও !    
দীর্ঘকাল  কম্যুনিস্ট থাকার পর মানুষ  কীভাবে  এতো  রঙ বদলায় ?  লাল ঝাণ্ডা ছেড়ে  সবুজ ঝাণ্ডা,  সবুজ  ছেড়ে  তেরঙা ?   ন্যূনতম  আত্মমর্যাদা বোধ থাকলে  কেউ পারে  ?   রেজ্জাক শুধু এক লাল ঝাণ্ডা ত্যাগ করেছেন চতা নয়, লাল ঝাণ্ডা ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রায় জনা পনের বাম বিধায়ক ও সাংসদ ।  এই লোকগুলো  নিশ্চিতভাবেই ভণ্ড কম্যুনিস্ট বা ভণ্ড বামপন্থী ছিলেন । তবে রেজ্জাককে  শুধু ভণ্ড বলা যায় না, তিনি মহাভণ্ড । এই ভণ্ডরাই এখন ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ ঠেকাতে বেশী মরিয়া ।
পরিশেষে একটা প্রশ্ন তুলতে চাই, এতোগুলো  ভণ্ড  কম্যুনিস্ট পার্টিতে  এতো দিন  থাকলো   কী ভাবে ? যে সব পার্টিতে তাঁরা ছিলেন সেই পার্টিগুলির মতাদর্শে কি ঘূণ  ধরে গিয়েছে ? মানুষ কিন্তু এর জবাব চাই ।  সিপিএম ও বামফ্রণ্টের শরিক দলগুলি কি সেটা উপলব্ধি করছে ?  
পরিশেষে আর একটা কথা বলি ।  রেজ্জাক তো এখন নব্য তৃণমূলী কিন্তু তিনি কি স্বস্তিতে  আছেন?  কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজি – মমতার এই নীতি তাঁর ঘুম হারাম করে দেবে না তো ?  আমও গেলো, ছালাও গেলো – এমন দশা হবে না তো  ?  



KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...