Wednesday, January 27, 2016

আল্লাহ্‌র দোহায় দিয়ে মুহাম্মদ বলেছেন, অবাধ্য হওয়ার আশঙ্কা করলে পত্নীকে প্রহার করবে






ইসলামের চোখে নারীরা গৃহপালিত পশুর মতো । গৃহস্বামী  তাদের গৃহপালিত জীবগুলির সঙ্গে যেরূপ আচরণ করে সেরূপ আচরণ  করার অধিকার  পতিরও আছে  তার পত্নীর সঙ্গে । গৃহস্বামী যেমন  তার পোষা জীবগুলিকে বেঁধে রাখতে পারে, ইচ্ছে হলো তো ছাড়লো কিছুক্ষণের জন্যে, অবাধ্য হলে প্রহার করতে পারে, ঠিক তেমনই পতি তার পত্নীদের সঙ্গে তদ্রূপ আচরণ করতে পারে । গৃহস্বামী তার পোষ্য জীবগুলির সঙ্গে যেরূপ খুশী আচরণ করতে পারে কারণ   গৃহস্বামি  ওই পোষ্য জীবগুলি্র মালিক ।  পতি ও পত্নীর মধ্যেও সম্পর্ক তদ্রুপই – পতি মালিক আর পত্নী তার স্থাবর সম্পত্তি বিশেষ পতি তার পত্নীকে ঘরে আটকে রাখতে পারে, ইচ্ছা হলে স্বল্প সময়ের জন্যে বাইরে যাবার  অনুমতি দিতে পারে (নাও পারে) এবং অবাধ্য হলে প্রহারও করতে পারে ।  পতি যে তার পত্নীকে ঘরে আটকে রাখার অধিকারী সে  কথা কোরান স্পষ্ট করেই বলেছে এবং এ কথাও কোনো রাখ-ঢাক করেই বলেছে যে অবাধ্য পত্নীকে প্রহার করবে । পত্নীকে ঘরে আটকে রাখার বিষয়টা এখন থাক, সেটা অন্য অধ্যায়ে আলোচনা করবো, এখন আলচনা করবো পত্নীকে প্রহার করা প্রসঙ্গে । কোরান অবলীলায় বলেছে পতি হলো পত্নীর কর্তা এবং সে পত্নীকে প্রহার করার অধিকারী । দেখুন কোরান কী বলছে – “পুরুষগ নারীদের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত কর্তা । যেহেতু আল্লাহ্‌ তাদের মধ্যে একের উপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, সেহেতু যে তারা স্বীয় ধন-সম্পদ থেকে ব্যয় করে থাকে; এইজন্য স্বাধ্বী স্ত্রীরা অনুগত হয়, আল্লাহ্‌র সংরক্ষিত প্রচ্ছন্ন বিষয় সংরক্ষণ করে, এবং যদি নারীগণের অবাধ্যতা  আশঙ্কা হয় তবে তাদের সৎ-উপদেশ দান করো, এবং তাদের শয্যা থেকে পৃথক করো,  এবং তাদের প্রহার করো, অনন্তর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের জন্য অন্য পথ অবলম্বন করো না ; নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সমুন্নত মহীয়ান (কোরান সুরা নিশা, ৪/৩৪)  লক্ষ্য করুন, এই আয়াতে পতিকে পত্নীর উপর যে অধিকার ও ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে তাতে  পতিকে তো  তার পত্নীর কর্তা থেকে একেবারে  মালিকের পর্যায়ে তুলে  দেয়া হয়েছে, এবং  পত্নিকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে ক্রীতদাসীর  স্তরে    দাস প্রথার যুগে  মালিক তার মালিকানাধীন ক্রীতদাস/ক্রীতদাসীদের উপর যে অধিকার ও ক্ষমতা  ভোগ করতো প্রায় সে রকম অধিকার ও ক্ষমতার মালিক  করে দেয়া হয়েছে  তিবাহাদুরকে তার    পত্নীদের উপর ।  ক্রীতদাস-মালিকদের থেকে মাত্র দু’টি ক্ষমতা কম দেয়া হয়েছে  পতিদেবতাদের  দাস সমাজ ব্যবস্থায়  ক্রীতদাসকে তার মালিকের পক্ষে  বিক্রী করা ও   হত্যা করা আইন সঙ্গত ছিলো,  শুধু এই দু’টি ক্ষমতা বাদে বাকি সব ক্ষমতাই কোরানে  দেয়া  হয়েছে পুরুষদের   কোরানের উক্ত  আয়াতটি বলছে,   পত্নীকে সব সময়েই  পতির  অনুগত থাকতে হবে, কোনো পরিস্থিতিতেই সে তার পতির প্রতি আনুগত্যকে  উপেক্ষা বা অস্বীকার করতে পারবে না ।  পত্নীকে  পতির প্রতিটি হুকুম তামিল (মান্য) করতে হবে বিনা প্রশ্নে ও বিনা দ্বিধায়,  এবং  কোনো অবস্থাতেই  সে  পতির অবাধ্য হতে পারবে না ।  পতির অবাধ্য হওয়া, আনুগত্য স্বীকারে কুণ্ঠিত হওয়া বা অস্বীকার করা অপরাধ । তাই  পত্নী অবাধ্য হলে  পতি তাকে  উপদেশ দেবে, তাতে কাজ না হলে তিরস্কার করবে,  তাতেও কাজ না হলে প্রহার করবে, তারপরেও সে   অনুগত না হলে  পতি  তাকে তালাক দিয়ে ঘর থেকে  রাস্তায়  বের করে দেবে ।  এই হলো  কোরানের বিধান  যা বিধিবদ্ধ রয়েছে   /৩৪ নং আয়াতে । কোরানের এই আইনের জন্যে মডারেট মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা বিব্রত বোধ করেন । তাঁরা এটাকে আড়াল করে  বলেন যে, আল্লাহ পুরুষদের তাদের পত্নীদের প্রহার করতে নিষেধ করেছে । তাঁদের সপক্ষে তাঁরা একটা হাদিস উদ্ধৃত করেন । এই হাদিসটি অর্ধ সত্য । কিন্তু ঐ হাদিসেই  মুহাম্মদ যে পত্নীদের প্রহার করার আদেশও দিয়েছেন –   সম্পূর্ণ সেই হাদিসটি  তাঁরা সচেতনভাবেই চেপে যান    ফলে হাদিসের মূল অর্থটাই পাল্টে যায়   আংশিক হাদিস   উদ্ধৃত করা এক ধরণের জালিয়াতি । এ রকম জালিয়াতি করায় মুসলিম ধর্মীয়নেতৃবৃন্দের একাংশ  বুদ্ধিজীবীগণ সিদ্ধ হস্ত   সম্পূর্ণ হাদিসটি আলোচনা করলে তাঁদের জালিয়াতিটা বোঝা যাবে । সুতরাং সেই হাদিসটি উদ্ধৃত করা   যাক ।    একট হাদিসে রয়েছে যে  রাসূলুল্লাহ (সঃ)    বলেছেনঃ   ‘আল্লাহর দাসীদের প্রহার কর নাএর পর একদা হযরত উমার ফারুক (রাঃ)  এসে আরয করেনঃ ‘নারীরা আপনার এ নির্দেশ শুনে তাদের স্বামীদের উপর বীরত্বপনা দেখাতে আরম্ভ করেছে ।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাদেরকে মারার অনুমতি দেন ।”  (সূত্রঃ – ঐ)  পত্নীদের প্রহার করার নির্দেশ ছাড়াও এই হাদিসের একটা কথার প্রতি আমি পাঠকদের বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই । কথাটা হলো – ‘আল্লাহর দাসীদের’ অর্থাৎ আল্লার চোখে নারী হলো আল্লাহর দাসী,  মানুষ নয়   সুতরাং দাসীকে (পত্নীকে) প্রহার করার অধিকার  পতির থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক       
পত্নীকে প্রহার করার কোরানের বিধানটি মডারেট মুসলিমরা  অস্বীকার বা আড়াল করলেও কোরান বিশেষজ্ঞ মুসলিম  ধর্মীয়গুরুরা আস্বীকার বা আড়াল করেন নি । তাঁরা এই বিধানটিকে যথাযথভাবেই বাখ্যা করেছেন । পাকিস্তানের  ধর্মীয় নেতা  মাওলানা মুহাম্মদ আলি তাঁর ‘The Religion of Islam: A comprehensive discussion of the sources, Principles and Practices of Islam’ গ্রন্থের ৬৫২ ও ৬৫৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন –
·         It appears that confining [women] to the house is the first step, and it is when they repeat their evil deeds in the house, or do not submit to the authority of the husband and desert him, that permission is given him to inflict corporal punishment, which is the last sort, and even this step does not make them mend their ways, matrimonial relation may be ended. (Vide: Women and the Koran, Anwar Hekmat, p – 216)  (নারীকে ঘরে আটকে রাখা হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ । তথাপি সে যদি ঘরে মধ্যে তার খারাপ কাজকর্ম অব্যাহত রাখে এবং পতির কাছে আত্মসমর্পণ না করে তবে তাকে দৈহিক শাস্তি দাও [প্রহার করো], এটা শেষ পদক্ষেপ । তৎসত্ত্বেও  সে যদি তার চলার পথের উন্নতি না ঘটায় তবে তার সঙ্গে বৈবিবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করা যেতে পারে)
মাওলানা মুহাম্মদ আলি তাঁর উক্ত গ্রন্থের ৬৫১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে, মুহাম্মদের নির্দেশ হলো, পত্নী যদি তোমার (পতির)  অপছন্দের কোনো লোককে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি  দেয় তাহলে তাকে প্রহার করবে     তিনি এ প্রসঙ্গে লিখেছেন –
·          It is reported that Muhammad said, “And be careful of your duty to the Allah in the matter of the women, for you have taken them as the trust of Allah … and they owe to you this obligation that they will not allow anyone to come into your house when you do not like. If they do, then give them slight corporal punishment which may not leave any affect on their bodies. (Vide: Women and the Koran, Anwar Hekmat, p – 221)   (এরূপ  বিবরণ রয়েছে যে মুহাম্মদ বলেছেন, “নারীদের বিষয়ে আল্লাহর প্রতি তোমাদের (পতিগণের) কর্তব্য সম্পর্কে যত্নবান থাকবে কেননা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেই তোমরা তাদের গ্রহণ করেছো ।  ... এবং  তোমাদের কাছে তাদের নৈতিক  কর্তব্য হলো এই যে,  তোমাদের অপছন্দের কোনো লোককে তোমাদের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দেবে না । যদি তারা তা করে, তবে তাদের হালকাভাবে দৈহিক শাস্তি দেবে এমন করে যাতে তাদের গায়ে শাস্তির চিহ্ন ফুটে না উঠে ।”
শুধু ৪/৩৪ নম্বর আয়াতেই নয়, কোরানের ৩৮/৪৪ নং আয়াতেও পত্নীকে প্রহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে ।  এই আয়াতে আল্লাহ তার প্রিয় নবী আয়ুবকে নির্দেশ দিয়েছে যে,  সে তার পত্নীকে প্রহার করার যে সংকল্প করেছিলো, পত্নীকে প্রহার করে সে যেনো তার  সেই সংকল্প রক্ষা করে  । আয়াতটির ভাষ্য হলো – “আমি তাকে আদেশ করলাম – এক মুষ্ঠি তৃণ নাও ও তার দ্বারা আঘাত করো এবং শপথ ভঙ্গ করো না ।” (অনুবাদ – ড.ওসমান গণী, Books way, কলকাতা) ড. গণির একটি বৈশিষ্ট হলো কোরানের আয়াতের রূঢ় ও কঠিন শব্দগুলোকে নরম করে উপাস্থাপনা করা। উক্ত আয়াতে আসলে একগুচ্ছ তৃণ নয়, আসলে বলা হয়েছে একটা ডাল বা একগুচ্ছ ডালের কথা ।  যেমন ড.জহরুল হক বঙ্গানুবাদে ‘একটি ডাল বা শাখা’র উল্লেখ রয়েছে । তিনি বঙ্গানুবাদ  করেছেন –  “তোমার হাতে একটি ডাল নাও এবং তা দিয়ে আঘাত করো, আর তুমি সংকল্প ত্যাগ করিও না” । (source: http://www.QuranToday.com/)  গিরিশচন্দ্র সেন ‘এক গুচ্ছ ডাল’ – এর কথা উল্লেখ করেছেন তাঁর বঙ্গানুবাদ  হলো  – “স্বহস্তে শাখাপুঞ্জ গ্রহণ কর, পরে তদ্বারা আঘাত কর, শপথ ভঙ্গ করিও না ।” ইংরাজী তর্জমাতেও ডালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে । সেই তর্জমাটি হলো - "And take in your hand a green branch and beat her with it, and do not break your oath..."  (Souirce - http://www.thereligionofpeace.com/quran/003-wife-beating.htm ) উক্ত আয়াতে কাকে প্রহার করার জন্যে কাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়  এ বিষয়টি  স্পষ্ট  করে দেওয়া হয়েছে কোরানের তফসিরে । ড. গণি অবশ্য সেটা এড়িয়ে গিয়েছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে । বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ শাজাহান ও মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান কিন্তু আয়াতটির তফসিরটি আড়াল করেন নি   তাঁরা লিখেছেন – “হযরত আইউবের (আঃ) স্ত্রী প্রয়োজনে বাহিরে গেলেন, তার ফিরিতে দেরী হয় । তাই তিনি বেত্রাঘাতের কসম করেন । এই কসম হইতে পরিত্রাণের পন্থা বাতলাইয়া দেওয়া হয় উক্ত আয়াতে । ইহা তাহার শরিয়তে বৈধ ছিল । বর্তমানে বৈধ নয় ।” (সূত্রঃ শাহনুর বঙ্গানুবাদ কুরআন শরীফ, রহমানিয়া লাইব্রেরী, ঢাকা) । মাওলানাদ্বয় তফসিরের শেষ অংশে যে কথাটি – বর্তমানে বৈধ নয় – ব্যক্ত করেছেন সেটা সঠিক নয়, তাঁদের নিজস্ব মনগড়া মতামত মাত্র ।  অন্যান্য তফসির এবং হাদিসে এই মতটির উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায় না । গিরিশচন্দ্র যে তফসির লিখেছেন তাতেও  নেইতিনি   লিখেছেন   – “আয়ুবের পত্নীর নাম রহিমা ছিল, আয়ুব যখন গুরুতর রোগে আক্রান্ত, তখন সে কার্যানুরোধে স্থানান্তরে গিয়াছিল, তথায় অনেক বিলম্ব করে, তাহাতে আয়ুব তাহাকে এক শত যষ্টির আঘাত করিবেন বলিয়া প্রতিজ্ঞা করেন । ঈশ্বরের প্রসাদে আরোগ্য লাভ করিলে পর তিনি সেই প্রতিজ্ঞা স্মরণ করিয়া প্রহারের ইচ্ছে করেন, তাহাতেই এই উক্তি হয় ।” (সূত্রঃ কুরআন শারীফ, গিরিশচন্দ্র সেন হরফ প্রকাশনী, কলকাতা )
পত্নীকে প্রহার করার নির্দেশ সম্পর্কে আমাদের নিঃসংশয় করে অসংখ্য হাদিসও । সেরূপ কয়েকটি হাদিস হলো –
·         Bukhari (72:715) - A woman came to Muhammad and begged her to stop her husband from beating her.  Her skin was bruised so badly that she it is described as being "greener" than the green veil she was wearing.  Muhammad did not admonish her husband, but instead ordered her to return to him and submit to his sexual desires. (একজন মহিলা মুহাম্মদের নিকট এসে তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি যেন তাঁর পতিকে তাঁকে প্রহার বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন । প্রহারের ফলে মহিলার গায়ের ত্বকে এতোটাই কালশিরে দাগ পড়েছিলো যে,  তিনি যে সবুজ রঙের বোরখা পরেছিলেন তার থেকেও তার ত্বকের রঙ বেশী সবুজ দেখাচ্ছিলো । মুহাম্মদ তাঁর পতিকে তিরস্কার করেন নি । তার পরিবর্তে তিনি ঐ মহিলাকে ঘরে ফিরে যেতে বলেন এবং পতির যৌন চাহিদা পূরণে তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ।)  

·         Bukhari (72:715) - "Aisha said, 'I have not seen any woman suffering as much as the believing women'" This is Muhammad's own wife complaining of the abuse that the women of her religions suffer relative to other women. (“আয়েশা বলেন, ‘আমি বিশ্বাসী নারীদের যতো কষ্ট ভোগ করতে দেখেছি, অন্য নারীদের  ক্ষেত্রে অতোটা দেখি নি ।’ ” মুহাম্মদের নিজের পত্নীর  এই হলো অভিযোগ যে তাঁর ধর্মের নারীরা অন্য ধর্মের নারীদের থেকে বেশী অন্যায় ব্যবহার ভোগ করতে হয় । )   
·          
·         Muslim (4:2127) - Muhammad struck his favorite wife, Aisha, in the chest one evening when she left the house without his permission.  Aisha narrates, "He struck me on the chest which caused me pain." (একদিন সন্ধ্যাবেলা মুহাম্মদের অনুমতি ব্যতীতই আয়েশা ঘর ছেড়ে বাইরে গিয়ছিলেন বলে মুহাম্মদ তাঁর বুকে  ঘুষি মেরেছিলেন ।  আয়েশা বর্ণনা করেন, “তিনি আমার বুকে ঘুষি মেরেছিলেন যার ফলে আমি বুকে ব্যাথা পেয়েছিলাম ।”
·          
·         Muslim (9:3506) - Muhammad's father-in-laws (Abu Bakr and Umar) amused him by slappinghis wives (Aisha and Hafsa) for annoying him.  According to the Hadith, the prophet of Islam laughed upon hearing this. (মুহাম্মদ তাঁর পত্নিদের [আয়েশা ও হাফসাকে]  জ্বালাতন করার জন্যে চড় মেরেছিলেন । সে কথা তাঁর দুই শ্বশুর  [আবু বকর এবং  ওমর]   তাঁকে আনন্দচ্ছলে বলেছিলেন । হাদিস অনুসারে  সে  কথা শুনে মুহাম্মদ হেসেছিলেন ।) 


·         Abu Dawud (2141) - "Iyas bin ‘Abd Allah bin Abi Dhubab reported the Apostle of Allah (may peace be upon him) as saying: Do not beat Allah’s handmaidens, but when ‘Umar came to the Apostle of Allah (may peace be upon him) and said: Women have become emboldened towards their husbands, he (the Prophet) gave permission to beat them."  At first, Muhammad forbade men from beating their wives, but he rescinded this once it was reported that women were becoming emboldened toward their husbands.  Beatings are sometimes necessary to keep women in their place. (“ইয়াস বিন আবদ আল্লাহ বিন আবি ধুবাব আল্লাহর রসুলকে [দঃ] বলেনঃ আল্লাহর দাসিদের প্রহার করবে না, কিন্তু ওমর আল্লাহর রসুলের [দঃ] নিকট এসে বলেনঃ মহিলারা তাদের পতিদের প্রতি অনানুগত হয়ে উঠেছে, তিনি [মুহাম্মদ] তখন তাদের প্রহার করার অনুমতি প্রদান করেন । প্রথমে মুহাম্মদ পুরুষদের তাদের পত্নীদের প্রহার করতে নিষেধ করেন,  কিন্তু যখন শুনলেন যে নারীরা তাদের পতিদের প্রতি অনানুগত্য প্রদর্শন করছে তৎক্ষনাৎ তিনি সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেন । নারীদের তাদের নিজের জায়গায় রাখার জন্যে মাঝেমাঝে তাদের প্রহার করার আবশ্যকতা রয়েছে ।)

·         Abu Dawud (2142) - "The Prophet (peace be upon him) said: A man will not be asked as to why he beat his wife." (নবী [দঃ] বলেনঃ পতিকে প্রশ্ন করা যাবে না, কেনো সে পত্নীকে প্রহার করেছে ।)
·          
·         Abu Dawud (2126) - "A man from the Ansar called Basrah said: 'I married a virgin woman in her veil. When I entered upon her, I found her pregnant. (I mentioned this to the Prophet).' The Prophet (peace_be_upon_him) said: 'She will get the dower, for you made her vagina lawful for you. The child will be your slave. When she has begotten (a child), flog her'" A Muslim man thinks his is getting a virgin, then finds out she is pregnant.  Muhammad tells him to treat the woman as a sex slave and then flog her after she has delivered the child. (আনসারদের বাসরা নামক একজন ব্যক্তি বলেনঃ ‘বোরখা পরিহিত একজন মহিলাকে আমি বিয়ে করেছিলাম ।  বোরখা খুলে যখন তাকে কাছে টানলাম,  তখন দেখলাম যে সে গর্ভবতী ,[এটা আমি রসুলকে বলেছিলাম] । রসুল [দঃ] বলেনঃ ‘যেহেতু তার যোনি তোমার জন্যে বৈধ, তাই সে যৌতুক [পতির দেয়] পাবে। শিশুটি হবে তোমার দাস । যখন সে সন্তান প্রসব করবে তখন তুমি তাকে চাবুক নির্মমভাবে প্রহার করবে ।’” একজন মুসলিম ভাবল যে সে এক কুমারীকে বিয়ে করেছে, তারপর দেখলো সে গর্ভবতী । মুহাম্মদ বললেন তাকে সেই মহিলার সঙ্গে যৌনদাসীর মতো আচরণ করবে এবং তারপর যখন সে সন্তান প্রসব করবে তখন তাকে নির্মমভাবে চাবুক মারবে ।)
·          
·         Ibn Ishaq/Hisham 969 - Requires that a married woman be "put in a separate room and beaten lightly" if she "act in a sexual manner toward others."  According to the Hadith, this can be for an offense as petty as merely being alone with a man to whom she is not related. (“কোনো নারী যদি অন্য পুরুষের সহিত যৌনতার মনোভাব নিয়ে আচরণ করে তবে তাকে একটা পৃথক ঘরে রাখবে এবং হাল্কাভাবে প্রহার করবে ।” হাদিস অনুসারে একজন নারী যদি শুধু মাত্র একজন অনাত্মীয় পুরুষের সঙ্গে একাকী সামান্য সময় কাটায় তবে সেটা হবে অপরাধ ।)
·          
·         Kash-shaf (the revealer) of al-Zamkhshari (Vol. 1, p. 525) - [Muhammad said] "Hang up your scourge where your wife can see it" ([মুহাম্মদ বলেছেন] “চাবুক এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখবে যাতে তোমার পত্নী সেতা দেখতে পায় ।”)

পতিকে  পত্নীর কর্তা ]কেনো করা হয়েছে কোরান তার দু’টি যুক্তি খাড়া করেছে ।  যুক্তি দুটি কিন্তু মুসলিম সমাজের ধর্মগুরু এবং   বুদ্ধিজীবীদের বহু চর্চিত সেই  দাবিকে দাবিকে নস্যাত করে দেয় যে  ইসলাম হলো একটি সাম্যবাদী ধর্ম, এবং এই ধর্ম সবাই সমান এবং  ইসলাম ধর্ম  কাউকে কারো চেয়ে ছোটো বা বড়ো করে নি ।  কারণ,   এই আয়াতটি ঘোষণা করছে ঠিক তার বিপরীত কথা বলছে – ‘আল্লাহ তাদের মধ্যে একের উপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন’ । এটা হলো পতিকে পত্নীর কর্তা বানানোর  একটা যুক্তি  দ্বিতীয় যুক্তিটি হলো – ‘তারা (পতিগণ) স্বীয়   ধন-সম্পদ থেকে ব্যয় করে থাকে’ । কী হাস্যকর যুক্তি !  দু’টি যুক্তিই আসলে অপযুক্তি বা কুযুক্তি বৈ নয়  ইসলাম  একদিকে নারীকে ঘরে আবদ্ধ থাকার নির্দেশ প্রদান করে (  দ্রঃ  কোরান-৩৩/৩৩, এ বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে )  পুরুষের উপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য করেছে, আবার  সেটাকেই অজুহাত করে বলছে যে  পতি  যেহেতু  পত্নীর জন্যে তার ধন-সম্পদ থেকে ব্যয় করে তাই  পতি তার পত্নীর কর্তা  (মালিক/প্রভু)  ‘পতি পত্নীর   কর্তা’ – এ কথার মধ্যেই তো নিহিত রয়েছে  তাদের পরষ্পরের  সম্পর্ক  কীরূপ  হবে   সম্পর্কটি  হলো প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্ক কিংবা দাস-মালিক ও  ক্রীতদাসের সম্পর্ক । প্রভুর  কথা ভৃত্য না শুনলে বা শুনে পালন করতে সামান্য বিলম্ব হলে ভৃত্যকে ধমকাবার, তিরস্কার করবার ও প্রহার করার অধিকার যেমন প্রভুর  জন্মায়, হুবহু সেই অধিকার  ইসলাম দিয়েছে  পতিকে । ৪/৩৪ নং আয়াত সে কথাই  প্রাঞ্জল  ভাষায়   ঘোষণা করছে । আয়াতটির ভাষ্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়, তাহলো,  প্রহার করতে পারো নয়, বলছে   ‘প্রহার করো’, অর্থাৎ পতিকে  প্রহার করার  হুকুম করছে, অর্থাৎ অবাধ্য পত্নীকে প্রহার করা পুরুষ মুসলমানদের ফরজ (আবশ্যিক)    পত্নীগণকে   পতিদের অনুগত  থাকতে হবে, যদি আনুগত্য অস্বীকার করে তাহলে  পতিরা তাদের   পত্নীদের  প্রহার করতে বাধ্য থাকবে কেউ যদি পত্নীকে প্রহার করা আদিম ও অসভ্য কাজ বিবেচনায় প্রহার করা থেকে বিরত থাকে তবে সেটা হবে আল্লাহর হুকুম (আদেশ) অমান্য করা যা কোনো মুসলমান করতে পারে না । কখন  প্রহার করতে হবে  তা বিশদে আলাদা ভাবে  মুহাম্মদ    তাঁর  শিষ্যদের  নিকট  বর্ণনা করে  গেছেন ।  সে বিবরণ জানা যায় হাদিস ও কোরানের  তফসির   থেকে । তফসীরকার ইবনে কাথির এ প্রসঙ্গে  জানাচ্ছেন, “... তাই এখানে এরশাদ হচ্ছে – এরূপ অবাধ্য নারীদেরকে প্রথমে বুঝাতে চেষ্টা কর অথবা বিছানা হতে পৃথক রাখ । হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘অর্থাৎ শয়ন তো বিছানার উপরেই করাবে, কিন্তু পার্শ্ব পরিবর্তন করে থাকবে এবং সঙ্গম করবে না । তার সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ রাখতে পার এবং স্ত্রীর জন্য এটাই হচ্ছে বড় শাস্তি ।’ কোন কোন তফসিরকারকের মতে তাকে পার্শ্বেও শুতে দেবে না । 
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) –কে জিজ্ঞাসা করা হয়, স্ত্রীর উপর কী হক আছে ? তিনি বলেনঃ ‘যখন তুমি খাবে তাকেও খাওয়াবে, যখন পরবে তাকেও পরাবে, তাকে মুখে মেরো না, গালি দিও না, ঘর  হতে পৃথক করো না, ক্রোধের সময় যদি শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কথা বন্ধ করো তথাপি তাকে ঘর থেকে বের করো না ’অতঃপর বলেনঃ ‘তাতেও যদি ঠিক না হয়, তবে তাকে শাসন-গর্জন করে এবং মেরে-পিটেও পথে সরল পথে আনয়ন করো’ ” (ইবনে কাথিরের তফসির, ৪র্থ – ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা – ৩৮৭)         

মডারেট মুসলিমরা যতোই অস্বীকার করুক মুসলিম সমাজের ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে  অবশ্য পত্নীকে প্রহার করা নিয়ে কোনো মতভেদ নেই তা প্রমাণিত হয়েছে উপরের আলচনায়     মতভেদ যা আছে তা কেবল প্রহার করার মাত্রা নিয়ে ।   মতভেদের কারণ হলো পত্নীদের প্রহার করার প্রশ্নে মুহাম্মদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কথা বলেছেন । কখনো বলেছেন হাল্কা প্রহার করতে, আবার কখনো বলেছেন কড়া প্রহার করতে ।
    বিদায় হজ্বের ভাষণে   তিনি হাল্কা প্রহার করতে বলেন । তিনি যা বলেছিলেন তার  অংশ বিশেষ হলো -  “ নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো । তারা তোমাদের সেবিকা ও অধীনস্থা ।  তাদের উপর তোমাদের হক এই যে, যাদের যাতায়াতের ব্যাপারে তোমরা অসন্তুষ্ট তাদেরকে তারা আসতে দেবে না । যদি তারা এরূপ না করে তবে তোমরা তাদেরকে যেন তেন প্রকারে সতর্ক করতে পারোকিন্তু তাদেরকে তোমরা কঠিনভাবে প্রহার করতে পার না, যে প্রহারের চিহ্ন প্রকাশ পায় । তোমাদের উপর তাদের হক এই যে, তোমরা তাদেরকে খাওয়াবে ও পরাবে এবং এমন প্রহার করা উচিৎ নয়  যার  চিহ্ন  অবশিষ্ট থাকে, কোনো অঙ্গ ভেঙ্গে যায় বা কোনো অঙ্গ আহত হয়  (সূত্রঃ – ঐ) আবার তিনি অন্যত্র কড়া প্রহারের কথাও বলেছেন । কোরানের ৩৮/৪৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলছে গাছের দাল দিয়ে পত্নীকে প্রহার করো । এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা উপরে করা হয়েছে । মুহাম্মদ পত্নীদের চাবুক মারার কথাও বলেছেন তার উল্লেখ কিছু হাদিসে রয়েছে । এই হাদিসগুলিও উপরে উদ্ধৃত করা হয়েছে ।  উলামার মধ্যে যাঁরা  হাল্কা প্রহারের মতের পক্ষে তাঁদের অভিমত হলো, হয় চড় বা থাপ্পড় মারবে,  অথবা কিল-ঘুষি মারবে ; তবে সে আঘাত যেন খুব জোরের সঙ্গে না হয় ।  তাঁদের অভিমত হলো,  স্ত্রীকে যতখুশী, যতক্ষণ খুশি প্রহার করা যাবে, কিন্তু প্রহারের ফলে যেন শরীরে কোনো চিহ্ন ফুটে না উঠে কিন্তু  প্রহারের ফলে স্ত্রীর শরীরে যদি চিহ্ন ফুটে ওঠে তবে তা সীমা লঙ্ঘন হয়েছে বলে গণ্য করা হবে এবং সেটা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ আরব আমীর শাহী  সংবিধানে এই মতটিকে অনুসরণ করা হয়েছে  ২০১০ সালে একজন প্রহৃত পতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত তার রায়ে বলে যে, স্ত্রীকে প্রহার করা পতির ন্যায়সঙ্গত অধিকার । তবে প্রহারের ফলে স্ত্রীর শরীরে চিহ্ন ফুটে উঠলে তা দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে । সেই রায়ে অভিযুক্ত পতিকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়, কারণ তার  প্রহারে তার স্ত্রীর গায়ে প্রহারের চিহ্ন ফুটে উঠেছিলোযাঁরা পত্নিকে কঠিন প্রহার করার পক্ষে তাঁরা কোরানের একটি আয়াতকে এবং কয়েকটি হাদিসকে তুলে ধরেন প্রমাণ হিসেবে । কোরানের সেই আয়াত ও হাদিসগুলোর উল্লেখ উপরে  করা হয়েছে ।   যাঁরা কড়া বা কঠিন প্রহারের পক্ষে তাঁদের যুক্তি হলো, প্রহার করার উদ্দেশ্যই  যেহেতু অবাধ্য স্ত্রীকে সোজা পথে আনা, তাই হাল্কা নয়, কড়া প্রহারই  করতে হবে  যাতে পত্নী  ভয় পায় এবং  পতির কাছে নত ও বাধ্য হয়     তাঁদের অভিমত হলো  পত্নীদের  প্রহার করার জন্যে লাঠি, রড ও চাবুক ব্যবহার করা শরিয়ত সম্মত । আর মুহাম্মদ যে নিজেও লাঠি ও চাবুক দিয়ে পত্নীকে প্রহার করতে বলেছেন তার প্রমাণ তো কোরান ও হাদিসেও রয়েছে ।   
পত্নীকে প্রহার করার আসমানি বিধান সম্পর্কে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই  যেহেতু বলা হয়েছে অবাধ্য পত্নীকে প্রহার করার কথা, সুতরাং পত্নীর অবাধ্যতা  সম্পর্কে  মুহাম্মদ ও তাঁর শিষ্যরা কী বাখ্যা দিয়েছেন তার উপর আলোকপাত করা একান্ত জরুরী । কোন কোন ক্ষেত্রে অসম্মতি বা আপত্তি জানালে  পতির প্রতি পত্নীর অবাধ্যতা বলে বিবেচিত হবে ?  অসম্মতি ও আপত্তির ক্ষেত্রগুলি খুবই  বিস্তৃত ও ব্যাপক  এখানে  একটি  ক্ষেত্রই উল্লেখ করবো  যেটার  উপর মুহাম্মদ  অধিক  গুরুত্ব আরোপ করেছেন । ক্ষেত্রটি হলো  পতিদেবতার (!)  যৌন- কামনা ও যৌন-ক্ষুধা  মুহাম্মদ বলেছেন  পতি  যখনই তার  পত্নীকে সঙ্গম করার উদ্দেশ্যে ডাকবে তৎক্ষণাৎ  তাকে সেই ডাকে সাড়া দিতে হবে সে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন । এ প্রসঙ্গে  একটি হাদিস হলো     -  “হযরত ইবনে তলব (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলে পাক (স) ইরশাদ করেছেনঃ যে কোনো ব্যক্তি নিজের  স্ত্রীকে তার প্রয়োজনে ডাকলে সে যেন সাথে সাথে তার নিকট চলে আসে, এমনকি রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও । (তিরমিজি শরীফ, ১-৬ খণ্ড একত্রে, সোলেমানিয়া বুক হাউস, ঢাকা, হাঃ নই ১০৯৮)  কিন্তু যদি এমন অবস্থা হয় যে  পত্নীর  সে সময় মানসিক বা শারিরীক কোনো অসুবিধার  জন্যে সাড়া দেয়ার অবস্থায় তিনি নেই তাহলে কী হবে ? না, কোনো পরিস্থিতিতেই পতিদেবতার ডাককে উপেক্ষা করা যাবে না, এমনকি  একটু পরে যাচ্ছি এমন কথাও বলা  যাবে না ।  পত্নী  যদি পতির ডাক উপেক্ষা করে কিংবা একটু সময় চাই তাহলে আল্লাহর শাস্তির কোপে তাকে পড়তে হবেকী প্রকার  কোপ  সে প্রসঙ্গে মুহাম্মদ বলেছেন, “স্বামী যদি স্ত্রীকে বিছানার প্রতি ডাকে এবং স্ত্রী যদি তাতে  অসম্মতি প্রকাশ করে, যদ্দরুন স্বামী অসন্তুষ্টির সহিত রাত্রি যাপন করে, তবে সেই স্ত্রীর রাত্রি এই অবস্থায় অতিবাহিত হয় যে, ফিরিশতাগণ রাত ভোর পর্যন্ত তার প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকেন ।” (বোখারী শরীফ, ১ম-৭ম খণ্ড একত্রে, মল্লিক ব্রাদার্স, হাঃ নং – ১১১৫)  দাম্পত্যজীবনে পতি-পত্নীর  মধ্যে তো মনোমালিন্য বা মান-অভিমান হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা । তেমনটা ঘটলে পতি-পত্নীর যে কেউ রাগ বশতঃ বা অভিমান বশতঃ সাময়িকভাবে এক শয্যায় নাও রাত্রি যাপন করতে পারে । পতি যদি এ রকম করে তাহলে সেটা তার অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং পত্নীকে তখন তার মান ভাঙাতে বা রাগ কমাতে পতির হাতে পায়ে ধরতে হবে  কিন্তু পত্নীর তেমনটা করার কোনো অধিকার নেই, এবং কোনো মতেই পতির উপর রাগ বা অভিমান বশতঃ সে পতির শয্যা ত্যাগ করতে পারবে না । তা করলে   আল্লাহ সেই নারী উপর ভীষণ অসন্তুষ্ট হবে এবং  ফেরেস্তাদের বলবে ঐ স্ত্রীটা তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে, যাও তোমরা ওর উপর  অভিসম্পাত বর্ষণ করো   এ কথা শুনিয়েছেন স্বয়ং   মুহাম্মদ তিনি কী বলেছেন তা শোনা যাক -আবু হোরায়রাহ(রাঃ) সূত্রে রাসূলে (সঃ) পাক হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেছেনঃ স্বামীর শয্যা পরিত্যাগ করে কোনো স্ত্রী রাত কাটালে ভোর পর্যন্ত  ফিরিস্তাগণ তার উপর অভিসম্পাত করতে থাকে ।” (মুসলিম শরীফ, ১ম-৮ম খন্ড, হাঃ ৩৪০৫)   
আরো বহুবিধো বিষয় রয়েছে যাতে পত্নীকে অবাধ্য তকমা দিয়ে প্রহার করা যায় । যেমন (এক) -  প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও রোজা পালন করা ফরজ (বাধ্যতামূলক)পতির আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব হলো তার পত্নীকে সে নামাজ পড়া ও রোজাব্রত পালন করানোর ব্যাপারে নছিহত করবে (বুঝাবে)    পত্নী যদি নামাজ না পড়ে বা রোজা না রাখে তবে সেটা বড়ো রকমের অবাধ্যতা । (দুই) - নারী সর্বদা ঘরের মধ্যে অবস্থান করবে, বাইরে বেরোবে না – এটা কোরানের  নির্দেশ (৩৩/৩৩) ।  তার প্রতি আরো নির্দেশ আছে যে,   সে যেন ঘরের বাইরে পতি বা অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত   পা না রাখে । যদি একান্তই বাইরে যাওয়া তার জরুরী হয়, তবে বাইরে যেতে হলে  তাকে তার আত্মীয় কোনো পুরুষ অভিভাবককে সঙ্গে নিতে হবে । যদি নারী এই বিধানের একটু এদিক ওদিক করে তবে তা অবাধ্যতা বলে গণ্য হবে এবং তার জন্যে তাকে প্রহার করার নির্দেশ রয়েছে   মুহাম্মদ স্বয়ং তাঁর প্রিয়তম পত্নী আয়েশার বুকে এই কারণে প্রচণ্ড জোরে  ঘুষি মেরেছিলেনএ হাদিসটি উপরে উদ্ধৃত করা হয়েছে । (তিন) - পত্নী কোথাও বিশেষ প্রয়োজনে এবং তার পতির অনুমতি নিয়ে ঘরের বাইরে গিয়েছে, কিন্তু ফিরতে তার একটু দেরী হয়ে গেছে,  এটাও তার অবাধ্যতা বলে গণ্য হবে এর জন্যেও কোরান বলছে পতি তাকে প্রহার করবে । আল্লাহর প্রেরিত দূত আয়ুব নবী এএঊপ সামান্য  কারণেই তাঁর পত্নীকে গাছের ডাল দিয়ে একশ’ বার  আঘাত  করেছিলেন । এ বিধান রয়েছে কোরানের ৩৮/৪৪ নং আয়াতে  যেটা উপরে আলচনা করা হয়েছে ।  (চার) -  নারী ঘরের  বাইরে পা রাখলে তাকে বোরখা পরতে হবে যাতে পর পুরুষ তার শরীরের কোনো অঙ্গ দেখতে না পায় । কোনো নারী যদি বোরখা না পরে রাস্তায় হাঁটে তবে তা অবাধ্যতা । (পাঁচ) -  নারী  কোনো পর পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করবে না, এমনকি অনাত্মীয় কোনো পুরুষ ডাক্তারের কাছেও যেতে পারবে না, যদি অনাত্মীয় কোনো পুরুষের সঙ্গে মেশে, কথা বলে, বা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্যেও  যায় তবে সেটাও অবাধ্যতা । এ বিধি প্রযোজ্য  ছোট ছোট মেয়েদের জন্যেও । এমনকি শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রেও এ বিধি প্রযোজ্য ।   এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  পড়া তাদের জন্যে নিষিদ্ধ  যেখানে   একই সঙ্গে ছেলে-মেয়েদের পড়ানোর ব্যবস্থা  বিদ্যমান সে জন্যেই শরিয়ত আইনে    কো-এড  স্কুল-কলেজ-য়ুনিভার্সিটিতে  মুসলিম মেয়েদের পড়াশোনা করা হারাম (অবৈধ) এবং নিষিদ্ধ   প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে নোবেল জয়ী বাচ্চা মেয়ে ইউসুফজাই মালালাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো  তালিবান জঙ্গিরা  যেহেতু সে উক্ত  নিষেধাজ্ঞা  লঙ্ঘন করে  পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং   সকল মেয়েদের পড়াশোনা করার অধিকারের পক্ষে ব্লগ লিখতো   (ছয়) – পত্নীর প্রতি নির্দেশ   রয়েছে যে, সে যেনো পতির অবর্তমানে তাঁর সংসারের হেফাযত করে (নিরাপত্তা রক্ষা করে)  সংসারের হেফাজত করার নানান দিক আছে । তার মধ্যে একটি হলো এ রকম, পতির অপছন্দের কাউকে তার ঘরে ঢুকার অনুমতি দিতে পারবে না । যদি তা করে তবে তা হবে অবাধ্যতা এবং তার জন্যে  তাকে দৈহিক শাস্তি দিতে হবে, এটা পুরুষের প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত ন্যস্ত দায়িত্ব   এ বিষয়ে পুরুষদের স্মরণ ও সচেতন করিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের বিখ্যাত মাওলানা মুহাম্মদ আলি The religion of Islam: A comprehensive discussion of the Sources, Principles and Practices of Islam গ্রন্থে  পৃষ্ঠায় লিখেছেন –
·         It is reported that Muhammad said, ‘And be careful about your duty to Allah in the matter of the women, for you have taken them as the trust of Allah     and they owe to you this obligation that they will not allow anyone to come into your house when you do not like. If they do, then give them slight corporal punishment which may not leave any effect on their bodies.’  (Vide: Women and the Koran, Anwar Hekmat, page – 221) [একটি বিবরণ থেকে জানা যায় যে মুহাম্মদ বলেছেন, ‘নারীদের বিষয়ে তোমাদের প্রতি ন্যাস্ত আল্লাহর দায়িত্ব  সম্পর্কে যত্নবান থাকবে যেহেতু তোমরা  আল্লাহর বিশ্বস্ত বান্দা হিসেবে তাদের (নারীদের) গ্রহণ করেছো । এবং তারা  নৈতিকভাবে তোমাদের কাছে এ বিষয়ে দায়বদ্ধ যে তোমাদের  অপছন্দের  কাউকে  তোমাদের  ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি  দেবে না । যদি তারা তেমন কাজ করে তবে তাদের হাল্কাহাবে দৈহিক শাস্তি দেবে (প্রহার করবে), তবে দেখবে,  তার ফলে তাদের শরীরে যেন শাস্তির চিহ্ন ফুটে না ওঠে ।)
পত্নীর অবাধ্যতার এরূপ আরো অনেক  দৃষ্টান্ত দেওয়া যায় । এক কথায় এটা বোঝাতে আমি সেই প্রবাদটাই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যেখানে বলা হয়েছে, পান থেকে একটু চুন খসলেও নারীর রেহাই নেই, সেটাও পত্নীর এক প্রকার অবাধ্যতা এবং তার জন্যে তাকে প্রহার খেতে হবে ।  
পত্নীকে অনুগত ও বাধ্য করার যে  নির্দেশগুলি কোরানে বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলি শুধু ভীতিপ্রদই নয়, পদ্ধতি হিসেবে সেগুলি যে অতিশয় অসভ্য, কদর্য ও কুৎসিত নির্দেশ  তা বলা বাহুল্য ।  কিন্তু ভীতি প্রদর্শনকারী এরূপ  অসভ্য ও অমানবিক নির্দেশ সত্ত্বেও নারী যদি পতির  অবাধ্য   থেকে যায়    তাহলে কী হবে ? এর কোনো উত্তর ৪/৩৪ নং আয়াতে নেই । আয়াতের এই ঘাটতিটা  মুহাম্মদ পরে পূরণ করে দিয়ে গেছেন । তিনি সাহাবিদের বলেছেন  সেই অবাধ্য পত্নীদের তালাক দিয়ে বিদায় করে দিতে     এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ যা বলেছেন   – “হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, এর পরেও যদি বিরত না হয় তবে ক্ষতিপূরণ নিয়ে তালাক দিয়ে দাও ।”   (ইবনে কাথিরের তফসির, ৪র্থ – ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা – ৩৮৭)  এই  তফসীর যে নির্ভুল তার প্রমাণ পাকিস্তানের প্রখ্যাত  ধর্মগুরু  মাওলানা মুহাম্মদ আলির বই থেকেও  পাওয়া যায় । তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থে (The Religion of Islam: A  Comprehensive Discussion of the Sources, Principles and Practices of Islam - Lahore, 1938 , p-652-653 ) লিখেছেন, “It appears that confining (women) to the house is the first step, and it is when they repeat their evil deeds in the house, or do not submit to the authority of the husband and desert him, that permission is given to inflict corporal punishment, which is  the last resort, and even if this last step does not make them mend their ways, matrimonial relations may be ended.” ( Vide: Women and the Koran, Anwar Hekmat, p-216)   
কথায় কথায় এবং কারণে অকারণে পত্নীদের পেটানোর অসভ্য ও বর্বর আদেশ বা বিধানটি  মুহাম্মদ আল্লাহর বিধান বলে নারীদের উপর আরোপ করে গিয়েছেন । মুসলমানদের মধ্যে যারা এটাকে সমর্থন করে তাদের বদ্ধমূল ধারণা ও বিশ্বাস যে সত্যি সত্যিই আল্লাহ এমন বিধান দিয়েছে যা আগে ছিলো নাকিন্তু একটা অপ্রিয় ও নির্মম সত্যি ঘটনা হলো মুহাম্মদ আল্লাহর নামে ইসলামে যা কিছু প্রবর্তন করেছেন তার সবগুলোই কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো আইনে বা ধর্মে চালু ছিলো, মুহাম্মদ পৃথিবীতে দু’/একটি ব্যতিক্রম ব্যতীত নতুন কিছুই আনেন নি বা বলেন নি । পত্নী-পেটানোর কুৎসিত আইনটিও চালু ছিলো ইসলামের আত্মপ্রকাশের বহুকাল পূর্বে । Middle Assyrian law   পত্নীকে চাবুক মারার অধিকার তার পতির ছিলো । সে আইনটি এ রকমঃ  “Apart from the punishment specified in the law for the married woman, a husband could scourage his wife, pluck her hair, twist or pierce ears with no liability attaching to him. (Vide: Women and the Koran by Anwar Hekmat, page- 224)     (বিবাহিত নারীর জন্যে আইনে নির্দিষ্ট শাস্তি ছাড়াও একজন পতি  তার পত্নীকে চাবুক মারতে, তার মাথার চুল উপড়াতে এবং তার কান ছিঁড়ে নিতে পারতো এবং তারজন্যে তাকে কোনো দায় নিতে হতো না) আনোয়ার নিজের মনগড়া কোনো কথা বা তথ্য দেন নি, তিনি প্রখ্যাত ঐতিহাসক  G.R.Driver এবং J.C. Mills  এর লেখা থেকে তুলে দিয়েছেন । Middle Assyrian law ছিলো বহু পুরানো, খৃষ্টপূর্ব বারোশ’ বছর পূর্বের ।  সেই আইনের  একটি ধারা হলো - A4 If a slave or slave-girl has received anything from a married woman, the slave(girl)’s nose and ears are to be cut off, so that the theft will be avenged and the man shall cut of his wife’s ears. But, if the man lets his wife off, and has not cut off her ears, the slave(girl) is not to lose nose or ears and the theft will not be avenged. (যদি কোনো ক্রীতদাস/ক্রীতদাসী একজন বিবাহিতা নারীর নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করে তাহলে সে কাজের  প্রতিশোধ হিসেবে ক্রীতদাসীটির  নাক ও কান  কাটতে  হবে । এবং লোকটি তার পত্নীরও  কান কাটবে    কিন্তু যদি, লোকটি তার পত্নীকে অব্যাহতি দেয় এবং তার কান না কাটে তবে ক্রীতদাসীটির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ নেওয়া যাবে না এবং তার নাক বা কান কাটা  যাবে না ।)  (Source: http://jewishchristianlit.com/Texts/ANElaws/midAssyrLaws.html)  অর্থাৎ মিডল এ্যাশিরিয় আইনে নারীর তার পতির অনুমতি ব্যতীত কোনো কিছু কাউকে দান করার অধিকার ছিলো না  । এই আইনের লঙ্ঘন করলে পতি সেই নারীকে তার কান কেটে নিয়ে শাস্তি  দেওয়ার অধিকারী ছিলো    উক্ত আইনে আর একটি জিনিষ বিশেষ লক্ষ্যণীয় তা হলো এই যে, একজন ক্রীতদাসীর সঙ্গে একজন স্বাধীন বা মুক্ত  নারীর বিশেষ পার্থক্য ছিলো না । মুহাম্মদ সেই সব কুৎসিত ও  বর্বর নারীবিরোধী আইনগুলি আল্লাহর নামে আরবের মাটিতে ফিরিয়ে আনেন এবং সেই আইনগুলির ইসলামিকরণ করে সারা বিশ্বে মুসলিম নারীদের উপর চাপিয়ে দেন । তবে মিডল এ্যাশিরিয় আইন এবং খৃষ্টপূর্ব ব্যবিলিয়ন আইন মুহাম্মদ প্রবর্তিত ইসলামি আইনের চেয়ে অনেক প্রগতিশীল ছিলো । এই আইনের একটি ধারা এ রকম – A52 If a man struck a harlot and caused her to miscarry, he is to be struck with the same number and type of blows: in this way he will pay on the principle of a life for a life. (যদি কোনো লোক একজন পতিতাকে আঘাত করে এবং তারজন্যে তার গর্ভনষ্ট হয় তবে, লোকটিকে    একই রকম জোরে এবং একই সংখ্যায়  পাল্টা আঘাত করতে হবে । এই ভাবে জীবনের বিনিময়ে জীবনের নীতি অনুসারে তাকে শাস্তি পেতে হবে ।) ব্যবলিয়ন আইন আর একটু প্রগতিশীল ছিলো যে আইনে পত্নী পতির যৌন কামনার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য ছিলো না এবং প্রয়োজনে সে তার পত্নীকে ঘৃণা করার অধিকারও রাখতো । এ প্রসঙ্গে  G.R.Driver এবং J.C. Mills  লিখেছেন সেটা এরূপঃ “If a woman so hated her husband and she has declared, ‘you may not have me,’ her record shall be investigated in the city of council, and she was careful (kept herself chaste) and was not a fault, even though her husband has been going out and disparaging her greatly, that woman,  without incurring any blame at all, may take her dowry and go off to her father’s house.  (Vide: Women and the Koran by Anwar Hekmat, page- 225)  (যদি একজন মহিলা তাঁর স্বামীকে এতটাই ঘৃণা করেন যে তিনি তাকে জানান, ‘তুমি আমার সঙ্গে নাও থাকতে পারো’, তাহলে সেক্ষত্রে তাঁর উক্তি নাগরিক সভা যাচাই করবে। তাঁর স্বামী বাইরে থাকা স্বত্তেও এবং তাঁকে প্রচণ্ড অবজ্ঞা করা স্বত্বেও যদি সেই মহিলা তাঁর সতীত্ব রক্ষার ব্যাপারে সাবধানী থাকেন এবং কোন দোষে দোষী না হন, তবে মহিলাটি তাঁর প্রাপ্য দেনমোহর নিয়ে পিতৃগৃহে ফিরে যেতে পারবেন।)




KARBALA: Truth and Lies

  KARBALA : Truth and Lies           GIASUDDIN                 Translated by SRIJIB BISWAS        ...